শরীর এবং মনকে সতেজ রাখার জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলা মনকে আনন্দ, নুয়ে পড়া শরীরকে উৎফুল্ল করে তোলে। ঠিকমতো খেলাধুলা করলে আমাদের চিন্তাভাবনা প্রয়াস এবং বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়। খেলাধুলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। আজকের আর্টিকেলে আমরা বাস্কেটবল খেলার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো..
বাস্কেটবল খেলার ইতিহাস
আমেরিকার জাতীয় খেলা বাস্কেটবল। ১৮৮১ সালে ড. জেমস নেইসমিথ আমেরিকায় সর্বপ্রথম বাস্কেটবল খেলার প্রচলন করেন। এজন্য ড. জেমস নেইসমিথকে বাস্কেটবলের জনক বলা হয়। পরবর্তীতে অর্ধশতবছর পরে ১৯৩৬ সালে বাস্কেটবল অলিম্পিক গেইমস এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর থেকে আস্তে আস্তে বাস্কেটবল সবার কাছে পরিচিতি পেতে শুরু করে। এবং আমেরিকার দেখােদেখি বিভিন্ন দেশেও বাস্কেট খেলা শুরু হয়।
এশিয়া মহাদেশে কলকাতা প্রথম বাস্কেটবল খেলা শুরু করে। বাংলাদেশে খুবই ছোট পরিসরে বাস্কেটবল খেলা হতো। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি খ্রীষ্টধর্ম স্কুলে বাস্কেটবল খেলা হতো, কিন্তু তা আস্তে আস্তে এখন সব জায়গায় ই খেলা হয়। বর্তমানে বাস্কেটবল ফেডারেশন কর্তৃক আন্তঃ স্কুল, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, আন্তঃ ক্যাডেট পর্যায়ে বাস্কেটবল খেলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
বাস্কেটবল খেলা সম্পর্কে
বাস্কেটবল খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। ১৮৮১ সালে ড. জেমস নেইসমিথ আমেরিকায় সর্বপ্রথম বাস্কেটবল খেলার প্রচলন করেন। শুরু দিকে ১১ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে বাস্কেটবল খেলা হতো। কিন্তু সে নিয়ম আর এখন নেই। ৫ জন করে দুই দলে ১০ জন খেলোয়াড় মাঠে নামেন। বাস্কেটবল খেলা মুলত লুকোচুরি টাইপের খেলা। হাতের মধ্যে বল নিয়ে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে উঁচু হুপের মধ্যে ফেলে দিয়ে পয়েন্ট কালেক্ট করতে হয়। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দলটি বিজয়ী হয়। ফুটবল বা ক্রিকেট কোন খেলার সাথে বাস্কেটবল খেলার তেমন মিল নেই।
আরো পড়ুন: দাবা খেলা কি হারাম ?
খেলার সময়ে প্রতিপক্ষকে খুব এ্যাটাক করতে হয় যেনো সে হুপের মধ্যে বল ফেলতে না পারে। এই বাস্কেটবল খেলার জন্য প্রচুর দক্ষতা এবং শক্তি প্রয়োজন। দলীয় পাঁচজন খেলোয়াড় পাঁচ পজিশনে খেলতে হয়। দলের সবচেয়ে লম্বা খেলোয়াড় সেন্টার পজিশন, লম্বা এবং একসাথে প্রচুর শক্তিশালী খেলোয়াড় পাওয়ার ফরওয়ার্ড পজিশন, সামান্য খাটো তবে বেশ চতুর এবং চটপটে খেলোয়াড় ছোট ফরওয়ার্ড পজিশন এবং সর্বশেষ দুজন খেলোয়াড় আক্রমনাত্মক এবং রক্ষণাত্মক পজিশন। বাস্কেটবল খেলতে হলে দম, দৌড়ানোর ক্ষমতা এবং প্রচুর শক্তি থাকার পাশাপাশি আরো কিছু মোলিক কলাকৌশল প্রয়োজন পড়ে। সেগুলো হলো-
বাস্কেটবল খেলার নিয়ম
কোনো কাজে লিখিত নিয়ম না থাকলে তার মধ্যে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায়। লিখিত নিয়ে হলে তা মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। সব খেলাধুলার মধ্যেই ফেডারেশন কর্তৃক একটা নিদিষ্ট নিয়ম থাকে। বাস্কেটবল খেলার জন্য ফেডারেশন কর্তৃক নিয়ম রয়েছে। চলুন বাস্কেটবল খেলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি..
আরো কিছু নিয়ম
বাস্কেটবল কত মিনিটের খেলা
দলগতভাবে খেলতে হয় এমন একটি খেলার নাম বাস্কেটবল। যেখানে ৫ জন খেলোয়াড় একটা আয়তক্ষেত্রাকার কোর্টের মধ্যে বল নিয়ে একজন আরেকজন খেলোয়াড়ের বিরোধিতা করে হুপের মধ্যে ফেলে দিতে হয়। পৃথিবীর সব খেলার ই একটা ধরাবাঁধা নিয়ম রয়েছে। ইচ্ছেমতো সময় নিয়ে খেলার কোনো সুযোগ নেই। বাস্কেট বল খেলারও একটা নির্ধারিত সময় রয়েছে। বাস্কেটবল কত মিনিটের খেলা আমরা অনেকেই তা জানিনা। বাস্কেটবল মুলত চার রাউন্ডের একটি খেলা। প্রতি রাউন্ড ১০ মিনিট করে খেলা হয়।
বাস্কেটবল খেলার কিছু প্রতিযোগিতা
ড. জেমস নেইসমিথ এর থেকে উদ্ভাবন হওয়া বাস্কেটবল খেলা বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয় খেলাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতার শেষ নেই! বিশ্বব্যাপী বাস্কেটবল নিয়ে কয়েকটি বড় বড় প্রতিযোগিতার নাম উল্লেখ করা হলো-
এছাড়াও ইউরোপ আমেরিকাতে বড় বড় সব টুর্ণামেন্ট আয়োজন হয়।
আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশন কর্তৃক রেগুলেশন হলো-
৯২ ফুট (২৮ মিটার) লম্বা এবং ৪৯ ফুট (১৫ মিটার) চওড়া কোর্ট হবে।
বাস্কেটবল খেলার উপকারিতা সহ অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বাস্কেটবল খেলার উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি পরিপূর্ন ধারনা পেয়েছেন আপনারা। এই আলোচনার বাহিরে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে তা জানাতে পারেন।
আমাদের সাথে থাকুন।
স্বাধীন স্পোর্টস (Sadhin Sports)