খুবই পরিচিত একটা খেলা ব্যাডমিন্টন। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ ই এই খেলার ভক্ত।
খুব বেশি জায়গা বা বেশি লোকজনের ও প্রয়োজন পড়েনা ব্যাডমিন্টন খেলতে, এমনি খেলার জন্য বড়-সড় কোনো মাঠ ও লাগে না। ছোট একটু জায়গা হলেই কোর্ট কেটে এই খেলা শুরু করা যায়। কোর্টের মাপ না জানার কারণে অনেকেই হয়তো একটু দ্বিধা দন্দে থাকেন। আজকে আপনার সবকিছু সহজ করে দিয়ে একবারে ব্যাডমিন্টন কোর্টের আন্তর্জাতিক মাপগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। এই ম্যাপগুলো জানা থাকলে নিজে নিজেই ব্যাডমিন্টন-এর কোর্ট কেটে ফেলতে পারবেন।
ব্যাডমিন্টন কোর্টের মাপ এবং ব্যাডমিন্টন-এর কোর্ট কিভাবে কাটতে হয় এ সম্পর্কে
চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসি..
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম হয়তো আমাদের সবার ই প্রায় জানা আছে।
কারণ আমরা অধিকাংশ লোকজন ই এই খেলাটা দারুণ উপভোগ করি। ছোট-বড় সবাই এই খেলা খেলতে পারি। তবুও কিছু নিয়ম কানুন নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
চলুন তাহলে ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম জেনে আসি
ব্যাডমিন্টন
ছয় ঋতুর মধ্যে একটা ঋতু হলো শীত। শীত আসলে ঠান্ডায় মরি মরি অবস্থা হয়ে যায়।
শীতের প্রকোপে শরীর বরফের ন্যায় রুপ নেয়। এজন্য শরীর গরম করার মাধ্যমে হিসেবে অনেকেই সুপরিচিত একটি খেলা ব্যাডমিন্টন কে বেছে নেন। আবার অনেকেই শারীরিক ব্যায়াম এবং দারুণ উপভোগ্য খেলা হিসেবে ব্যাডমিন্টন খেলে থাকেন। শীত আসলে ব্যাডমিন্টন খেলার হিড়িক পড়ে যায়। গ্রাম থেকে শহর সবজায়গা ই তখন ব্যাডমিন্টন। রাত-দিন যে কোনো সময়েই ব্যাডমিন্টন খেলা যায়, তবে বেশিরভাগ সময়ে রাতের বেলাতেই মানুষজন ব্যাডমিন্টন বেশি খেলে।
১৯ শতকে এই ব্যাডমিন্টন খেলা চালু হয়। এই খেলা ব্যাট দিয়ে খেলতে হয়।
শরীরের সাথে এই খেলার কোনো সম্পর্ক নেই। এই ব্যাডমিন্টন খেলা কে রেকেট খেলা ও বলা হয়। ভারতের পুনেতে জম হওয়া এই ব্যাডমিন্টন খেলা এখন পুরো বিশ্বে বিরাট জনপ্রিয়। ব্যাডমিন্ট এর ব্যাটগুলো খুবই হালকা মানের হয়। যেনো খুব সহজেই হাতের মধ্যে এপাশ ওপাশ ঘোরানো ফিরানো যায়। ব্যাটের হাতলে গ্রীপস লাগানো থাকে, যেনো মারার সময় ব্যাটটা হাতের সাথে আটকে থাকে। ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পায়ে জুতা পরে খেলা উচিত। নতুবা দৌড়াদোড়ির সময়ে পায়ে আঘাত লাগতে পারে।
ব্যাডমিন্টন খেলার কিছু প্রতিযোগিতা
BWF বিভিন্ন সময়ে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বিভিন্নরকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
সে সব প্রতিযোগিতা সম্পর্কে চলুন একটু জেনে আসি..
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস
অধিকাংশ ক্রিড়াবীদদের মতে ১৯ শতকে অর্থাৎ- ১৯৩৪ সালে ভারতের পুনে শহরে ব্যাডমিন্টন খেলার শুরু হয়।
শুরুর দিকে ইচ্ছেমতো খেলা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন (আইবিএফ) কর্তৃক খেলাটিতে কিছু সাধারণ নিয়ম-কানুন সংযুক্ত করে দেন। সেই সাধারণ নিয়ম-নীতি সংশোধিত হয়ে ১৯৮৩ সালে পূর্ণ নিয়ম-নীতি চালু করে আইবিএফ। শুরুতে ভারত, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, কানাডা, ওয়েলস, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে ডেনমার্ক এই ব্যাডমিন্টন খেলার একটা টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করে। এবং সেই আয়োজন থেকে পুরো বিশ্বের মানুষের নজরে চলে আসে। এবং তাদের খেলা দেখে আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বে এই খেলা এখন তুমুল জনপ্রিয়। ব্যাডমিন্টন খেলা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, বর্তমানে অলিম্পিক গেইমস এ এই খেলা বিরাজমান।
ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট হিসাব
বিশ্বে যত ধরনের খেলা আছে, সব খেলার মধ্যেই স্কোর বা পয়েন্ট আছে।
পয়েন্ট না থাকলে হার জিত হিসাব করা সম্ভব হয় না। অন্যান্য খেলার মতো তেমনিভাবে ব্যাডমিন্টন খেলার মধ্যেও পয়েন্টের হিসাব আছে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসি..
স্কোর বা পয়েন্ট
নেটের উচ্চতা; ৫ ফুট ১ ইঞ্চি বা ১.৫৫ মিটার। এবং দুই কোর্টের ভেতরে ৫ ফুট বা ১.৫২৪ মিটার জায়গা তাকতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে ব্যাডমিন্টন কোর্টের মাপ এবং ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হলো। ব্যাডমিন্টন খেলা সম্পর্কে অন্য কিছু জানার থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে তা জানাতে পারেন। আমরা সবসময় আপনাদের পরামর্শ বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
আমাদের সাথে থাকুন।
স্বাধীন স্পোর্টস (Sadhin Sports)